হাইমচর প্রতিনিধি ॥
চাঁদপুর জেলার হাইমচর উপজেলার ১ নং গাজীপুর ইউনিয়ন, মনিপুর চরে মুজিব কেল্লার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন দেশ জুড়ে মুজিব কেল্লা গড়ে তুলবে। যেখানে বন্যা কবলিত মানুষের আশ্রয়ের ঠিকানা হবে। যদিও এটাকে সাইক্লোন সেন্টার বলা হয়, নামকরণে মুজিব কেল্লা হিসেবে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দেন। তার আলোকে চাঁদপুর এর উন্নয়নের রুপকার শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপির অক্লান্ত চেষ্টায়, আর হাইমচর উপজেলার চেয়ারম্যান ও হাইমচরবাসির আস্থাভাজন নুর হোসেন পাটওয়ারীর সহযোগিতায় ১নং গাজীপুর ইউনিয়নে এই মুজিব কেল্লাটি গড়ে তুলতে স্থান নির্ধারিত করেন, মজিব কেল্লা তৈরি কাজ উদ্বোধন করেছিলেন, ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ হাবিবুর রহমান গাজী। ইউপি চেয়ারম্যান নিজের দায়িত্বে ১ম তলা ভবনের মুজিব কেল্লার ৯০ ভাগ কাজই বিগত এক বছরের মাথায় শেষ করেছেন। জমিন থেকে প্রায় ১০ ফুট উচ্চতার মাটি ভরাট করে মুজিব কেল্লাটির ভবন নির্মাণ কাজ করেন, চলতি বছর এই কেল্লার চারপাশের প্রাচীর এর কাজ চলছে, লক্ষ্য করা যায়, চারদিকে গাইড ওয়াল করে ব্লক দিয়ে স্লুপিং কাজ চলছে, সেই সাথে পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেন করা হচ্ছে, এতে করে বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানি দ্রুত অপসারণ হবে, তাছাড়া এই মুজিব কেল্লাকে ঘিরে গাজীপুরবাসি বন্যা কবলীত হলে আশ্রয়ের ঠিকানা খুঁজে পেয়েছে বলে জানান। অপরদিকে এলাকাবাসী জানান ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এর সততার কারণে আজ আমরা একটি আশ্রয় ঠিকানা খুঁজে পেয়েছি। তাছাড়া চেয়ারম্যান নিজে দাঁড়িয়ে থেকে প্রথম থেকে এ পর্যন্ত ভবন নির্মাণ কাজ করছে, ফলে টেকসই আর উন্নতমানের মুজিব কেল্লা ভবনটি তৈরি হয়েছে। এই ভবনের দুই পাশে চারটি করে মোট আটটি বাথরুম রয়েছে, তার সাথে খাবার পানিসহ ভিতর বাহিরে বিদ্যুতের ব্যবস্থা, যাতে করে আশ্রয় নেওয়া মানুষের কোন সমস্যা না হয়। বলা হয়, বিশাল এই ভবনে হাজার মানুষ থাকতে পারবে। এছাড়া রয়েছে কয়েকটি সিলিং ফ্যান, কেল্লার চার পাশে সৌরবিদ্যুৎ এর স্টিক লাইট, রাঁতের সময় চারপাশ আলোয় আলোকিত হয়ে উঠবে। এদিকে গাজীপুর ও মনিপুর চরবাসি বলেন আমাদের সন্তানদের জন্য একটি স্কুল তৈরি হলে সন্তানরা এখানেই লেখাপড়া করতে পারত। আজ অনেকেই মেঘনা পাড় দিয়ে হাইমচর এসে লেখাপড়া করছে, তাই তাদের দাবি পূরণে চেয়ারম্যান কেল্লার পাশেই স্কুল গড়ে তুলতে বিরাজ জায়গা মাটি দিয়ে ভরাট করে, গাইড দেয়াল নির্মাণ করেছে, তার সাথে একটি টয়লেট ও টিউবওয়েল স্থাপন করেছেন বলে সরজমিন দেখা যায়। মূলত বিষয় হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন বাস্তবায়ন হতে আর কয়েক মাস হয়ত লাগবে, কেনো না কেল্লার কাজ খুবই দ্রুত লক্ষ্য করা গেছে, প্রতিদিন ৩০-৪০ জন শ্রমিক কাজ করে কেল্লার কাজ এগিয়ে নিচ্ছে।
Leave a Reply