মোঃ হোসেন গাজী।।
চাঁদপুর জেলা হাইমচর উপজেলার হিজড়াদের চাঁদাবাজি ব্যাপক হারে বেড়েছে। হিজড়া তারা দলবেঁধে কিংবা দুই-তিনজনে গ্রুপ করে হাইমচরের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ও স্থানীয় বাজারে ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে হাজির হচ্ছে। এছাড়া গায়ে হলুদ, জন্মদিন, আকিকাসহ সামাজিক নানা আচার অনুষ্ঠানে হঠাৎ এরা হাজির হয়ে চাঁদাবাজি করছে। এরা মূলত চাঁদপুর থেকে আসে, চাঁদপুর জেলা সমাজসেবা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুর জেলায় হিজড়াদের সংখ্যা প্রায় ১৩৫ জন। যাদের বেশিরভাগই চাঁদপুর জেলার বাইরের বলে জানা যায়। অন্যদিকে জেলায় স্থায়ীভাবে হিজড়াদের সংখ্যা ৩০থেকে ৩৫ জন হবে বলে জেলা পরিসংখ্যান অফিস সূত্রে জানা যায়। স্হানীয় ব্যাবসায়িদের বেচা-বিক্রি হোক বা না হোক, ক্যাশে টাকা থাকুক বা না থাকুক, হিজড়াদের দাবিকৃত চাঁদা থেকে নিস্তার নেই। হিজড়াদের বেঁচে থাকার অধিকার আছে। আর বেঁচে থাকতে হলে খাদ্য, বস্ত্র, চিকিৎসার প্রয়োজন আছে। তবে তাদের মনগড়া দাবি বেদনাদায়ক। অত্যন্ত আপত্তিকরভাবে তারা হাটে-ঘাটে, বাসা-বাড়িতে চাঁদা তুলে থাকে।বিশেষ করে বাসা বাড়ীতে গিয়ে, গায়ে হলুদ,আকিকা সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গিয়ে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে চাঁদা না দিলে মানুষের সাথে খারাপ আচার আচরন করে, ,, গালমন্দ এব কি উলঙ্গ হয়ে যায় পরিবারের লোকজনের সামনে। মান সম্মানের দিকে তাকিয়ে অসহায় হয়ে টাকা দিতে বাধ্য করে।।
সরকার এবং বিভিন্ন এনজিও হিজড়াদের নিয়ে কাজ করছে। তারপরও কেন তারা সাপ্তাহিক, মাসিক চাঁদা ওঠাচ্ছে বুঝতে পারছি না।
তাই এই বিষয়ে প্রশাসন জোরালো পদক্ষেপ নেওয়ার জোর দাবি জানান স্হানীয় এলাকাবাসী।
Leave a Reply