ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি:
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী রূপসা বাজারস্থিত উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে অভ্যন্তরে বাজারের টয়লেটের ময়লা ফেলা হলো। অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় চিকিৎসকের অনুমতি নিয়েই বাজার ব্যবসায়ী কমিটি এই কাজ করে। এনিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সেবাগ্রহিতাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, শুক্রবার রাতে উপজেলার রূপসা বাজার ব্যবসায়ী কমিটি বাজারের একটি পাবলিক টয়লেটকে ব্যবহার যোগ্য করতে টয়লেটের ময়লাগুলো পাশেই অবস্থিত রূপসা উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পিছনের অংশে ফেলে। এসময় স্থানীয় কিছু লোকজন টের পেয়ে বাধা দিলেও কমিটির লোকজন জানান, তারা ইউপি চেয়ারম্যান ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে এই কাজ করেছেন।
বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সাবেক সভাপতি ফারুক হোসেন জানান, এমনতেই উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি জরাজীর্ণ। তার উপর পাবলিক টয়লেটের ট্যাংকির ময়লা ফেলে পরিবেশ দূষণ করা হয়েছে। শাহআলম মুকুল নামে অপর এক ব্যবসায়ীও জানান, শনিবার সকালে বাজারে এসে তিনি শুনেছেন টয়লেটের ময়লা হাসপাতালের পিছনের অংশে ফেলা হয়েছে।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, রূপসা উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি এই অঞ্চলের মানুষের চিকিৎসা সেবার অন্যতম স্থান। কিন্তু এর ভিতরের ও বাইরের চেহারা দেখলে মনে হবে এটি নিজেই অসুস্থ। নোংরা ও আবর্জনায় পরিপূর্ণ। এর উপর আবার টয়লেটের ময়লা ফেলা হলো। স্বাস্থ্য সেবার মান কোথায় যাবে।
উপস¦াস্থ্য কেন্দ্রের কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ডা: লুৎফর রহমান বলেন, বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এসে আমাকে বলেছেন ট্যাংকির ময়লা ফেলার কোন স্থান নেই। উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্যাংকির পাশে বাজারের টয়লেটের ময়লা ফেলে তা আবার ভালভাবে ঢেকে ও পরিষ্কার করে দেয়ার শর্ত দিয়েছি। বিষয়টি সঠিক কিনা তা দেখছি।
বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি আজিম খান বলেন, ইতিপূর্বেও এই স্থানে ময়লা ফেলা হয়েছে। বাজারের ময়লা ফেলার কোন স্থান না থাকায় এবং স্থানটি নিচু হওয়ায় আমরা হাসপাতালের চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে ময়লা ফেলে আবার ভাল ভাবে মাটি দিয়ে ঢেকে দিয়েছি।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এস এম কাউছারুল আলম কামরুল বলেন, উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রটি এমনিতেই বেদখল হয়ে যাচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি এখানে ২০ শয্যার একটি হাসপাতাল অনুমোদনের জন্য। বাজারের টয়লেটের ময়লা ফেলার জন্য কোন স্থান না পাওয়ায় উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরিত্যক্ত অংশ ও টয়লেটের ট্যাংকির পাশের গর্তে ফেলা হয়েছে। ভালভাবে পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: আশরাফ আহমেদ চৌধুরা জানান, আমি বিষয়টি জেনে খোঁজ খবর নিচ্ছি। স্বাস্থ্য কেন্দ্র ময়লা ফেলার জায়গা নয়।