1. haimcharbarta2019@gmail.com : haimchar :
সাহেবগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ : ভুক্তভোগীদের ক্ষোভ - হাইমচর বার্তা
বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ১২:৪৭ অপরাহ্ন

সাহেবগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ : ভুক্তভোগীদের ক্ষোভ

  • Update Time : সোমবার, ২৩ মে, ২০২২
  • ৬৪ Time View

হোসনে মোবারকঃ
সাহেবগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী অসন্তোষ ও ক্ষোভ প্রকাশ করছে।

গতকাল ২৩ মে সোমবার চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার সাহেবগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন ১৫/২০ জন শিক্ষার্থী এবং একাধিক অভিভাবক। ইচ্ছেমত ফি নির্ধারণ, অসময়ে বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া, সামান্য অজুহাতে স্কুল ছুটি দেয়া, এমন নানাবিধ স্বেচ্ছাচারীতায় পাঠদান কার্যক্রম এবং বিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ার অভিযোগে অসন্তোষ, ক্ষোভ বিরাজ করছে ছাত্র ছাত্রী, অভিভাবকদের মাঝে।

অভিযোগের ভিত্তিতে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার সাহেবগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায় ছাত্র ছাত্রী, একাধিক অভিভাবক এবং বিদ্যালয়ের সামনের স্থানীয় দোকানদার অভিযোগের ডালা মেলে ধরে প্রতিবেদকের ক্যামেরার সামনে। তাদের প্রধান অভিযোগ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের প্রতি। বিদ্যালয়ে প্রায়ই অনুপস্থিত থাকেন তিনি। যেদিন আসেন, সেদিন দুপুর ১২ টার পরে আসেন। বৃষ্টি বা সামান্য কোন কারণে বিদ্যালয় ছুটি দিয়ে দেন। ক্লাস হয় না নিয়মিত। করোনাকালীন ২০২১ সালে ছাত্র ছাত্রীদের কাছ থেকে বেতনসহ বিভিন্ন ফি জোড়পূর্বক আদায়ের অভিযোগ করে উপস্থিত ছাত্র ছাত্রী এবং অভিভাবকরা।
২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফরম ফিলাপ ১৭৫০টাকা, কোচিং ফি ৫০০, মূল্যায়ন পরীক্ষার ফি ৩০০, এবং বেতনসহ ৫০০০ হাজার টাকা আদায়ের অভিযোগ করেন অন্তত দশজন পরীক্ষার্থী। এমন একটি ইউনিয়ন পর্যায়ের গ্রামের একটি স্কুলে এত টাকা জোরপূর্বক আদায় করাটা অমানবিক এবং নীতিবহির্ভূত বলে দাবি করেন উপস্থিত জনগন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোর্শেদুল আলম অনুপস্থিত থাকায় তাঁর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং বলেন, আপনারা আরেকদিন আসেন সেদিন কথা বলব।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রফিকউল্লাহ চৌধুরীর বাড়িতে সরোজমিনে গিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রধান শিক্ষক তার স্ত্রীর অসুস্থতার অজুহাতে বিগত আঠারো মাস থেকে স্কুলে অনিয়মিত আসেন। এখন মিটিং করে বলে দিয়েছি, এখন থেকে নিয়মিত আসতে হবে। বাকি অভিযোগগুলোর ব্যাপারে তিনি অবগত নন বলে জানান। তিনি আরও বলেন, অডিট করতে যারা আসেন তাঁরাও লিগ্যাল কাজ করেন কী না, সে ব্যাপারে আমিও সন্দিহান।

এই ব্যাপারে ফরিদগঞ্জ ঊপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহ-আলী রেজা আশ্রাফীর কাছে জানতে চাইলে তিনি জুম মিটিংয়ে ব্যস্ততা দেখিয়ে এড়িয়ে যান এবং বলেন, আপনাদের সাথে পরে কথা বলব।

চাঁদপুর জেলা জেলা শিক্ষা অফিসার গিয়াস উদ্দিন পাটোয়ারীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি বিষয়টির খোঁজ নিবেন এবঙ সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও
© স্বর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Customized By BreakingNews