নিজস্ব সংবাদদাতাঃ
বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদ চাঁদপুর জেলা শাখার উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মহান স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে
১৭আগস্ট বিকাল পাঁচ টায় চাঁদপুর রোটারি ভবনে সংগঠনের সভাপতি মুক্তাপীযুষ এর সভাপতিত্বে, মিঠুন ত্রিপুরার পরিচালনায়
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখেন চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর অসিত বরন দাস।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যদি স্বাধীনতা যোদ্ধের নেতৃত্বে না থাকতেন তাহলে হয়তো দেশটা স্বাধীন হতো না। বঙ্গবন্ধু অর্জিত বিষয়ে ৭৫ পরবর্তী সময়ে তেমন কোনো আলোচনা করা যায়নি। ১৯৯৬ সালের পরে এবিষয়ে আলোচনার সুযোগ হয়।
৭৫ এর ১৫ আগস্ট যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে তারা কেউ’ই মুক্তিযুদ্ধা ছিলোনা, এরা সবাই ছিলো পাকিস্তানি ও তাদের দোসর এরাই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে ঢুকে পড়ে এবং ইতিহাসের সবচেয়ে বর্বরচিত হত্যাকান্ড ঘটায়। এদের মধ্যে অনেকেই আজ মুক্তিযোদ্ধা দাবী করেন। সেনা শাষিত পৃথিবীর কোনো রাষ্ট্র উন্নয়ন করেছে তার ইতিহাস নেই, বাংলাদেশকে সেই অবস্থান থেকে উন্নয়নের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধুকণ্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর পুরান বাজার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার, বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা রোটারিয়ান কাজী শাহাদাত, উপদেষ্টা ডাঃ পীযুষ বড়ুয়া, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি তপন সরকার
বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মিঠুন বিশ্বাস প্রমুখ।
অনুষ্ঠান শুরুতে বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদের শিক্ষার্থীরা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে সমবেত ও একক কন্ঠে গান শোকের অর্ঘ কবিতা আবৃত্তি করেন
অন্যনা দাস, অরিন রায়, আবৃত্তি দাস, আসমা আক্তার, ওমর ইসরাত প্রীতি, ওমর নুসরাত ঝুড়ি, তনুশ্রী দাস, শুভশ্রী দাস, সুমাইয়া আক্তার, আফসানা তন্বী, সাদ্দাম হোসেন, নিলয় দাস, গৌরি চন্দ, প্রথমা নন্দী,পুনম নন্দী, ফাতেমা তুজ জোহরা, তাসফিয়া ফাহমী, কৃপা দাস, প্রখর পীযূষ ও প্রত্ন পীযূষ।