রেজাউল কবির রাজিব টঙ্গী : সত্যই বড় দুঃখ ও দুর্ভাবনার বিষয় টঙ্গী এরশাদ নগরে দীর্ঘ বছর যাবত এই দুর্গতির কোনো অবসান নেই। দেখা গেছে প্রতিনিয়ত ভোর ফজর থেকে শুরু করে এলাকার এদকল গণ নিরোধী অপরাধী ও চিহ্নিত অপরাধী এরা পায় চালিত রিক্সা পেলেই তাদের ধরে নিয়ে বহু ধরনের নাজেহাল ও হয়রানী করে প্রশ্ন করে তাদের রিকশার লাইসেন্স আছে কিনা ? মেইন প্লেট আছে কিনা ? কোন খান থেকে এসেছো ? কোথায় যাবি ?
যদি কোন মেইন প্টেলট না থাকলে যেন তেন ভাবে একটি নকল মেইন প্টেল দিয়ে অনেক টাকা আদায় করে নিচ্ছে আর বলছে ইহা সিটি কর্পোরেশনের লাইসেন্স। এভাবে অনেক হতদরিদ্র রিক্সা চালকের টাকা পয়সা, মোবাইলসহ সাথে যা থাকে সব কিছু ছিনিয়ে নেয়। এমনিকি তার রিক্সাটাও কেড়ে নিয়ে যায়।
অনেক সময় দেখা গেছে গার্মেন্টস শ্রমিক নাইট টিউটি সেরে অনেক শ্রমিক বাসায় ফিরার পথে তারাও হয়রানির শিকার হয়। এভাবে ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরাও তাদের হয়রানি থেকে বাঁচাতে পারছে না।
এলাকায় কোন মেহমান আসলে তারাও বড় অপ্রীতিকর দুর্বিসহ অবস্থায় পড়ে যান। তাদেরকে নির্জন এলাকায় ধরে নিয়ে নাজেহাল করে তাদের হাতে থাকা মোবাইল টাকা পয়সা ও অন্যান্য সবকিছু ছিনিয়ে নেয় এবং হুমকি দিয়ে বলে তুই মাদক ব্যবসায়ী তোকে পুলিশের হাতে দিব। এমনকি তোকে জানে মেরে ফেলবো বলে ভয়ভীতি দেখায়। তার কাছ থেকে এই এসব নেশা জাতীয় দ্রব্য পেয়েছি বলে অপবাদ দেয়। খবর পেয়ে তাদের পক্ষ থেকে কোন অবিভাবক আসলে দুর্বিত্তরা বলে দুঃখিত আমরা তাকে চিনতে পারিনী। দেখা গেছে সড়কের দুই পাশে ছোট ছোট রিক্সার গ্যারেজ, গাড়ীর গ্যারেজে বিভিন্ন অপকর্মসহ নেশা খেয়ে ওরা নেশা অবস্থায় পথচারী থেকে যা কিছু আছে সব ছিনিয়ে নেয়। টঙ্গী বাজার থেকে উত্তরে বোর্ডবাজার এলাকা পর্যন্ত। এসব এলাকায় তাদের দৌরাত্ব বেশী। এমনকি তাদের হয়রানি পবিত্র রমজান মাসেও থেমে নেই। চলছে অব্যহত গতীতে। কিন্তু দুঃখ ও হতাশার বিষয় এলাকার কতিপয় গন্যমান্য মুরব্বীরা এই অপকর্ম দেখেও ইহা দমনে এগিয়ে না এসে তাদের অপরাধের মাত্রা আরো বাড়িয়ে দেয়। এমতাবস্থায় আমরা মনে করছি টঙ্গী থানা থেকে কঠোর পুলিশি তৎপরতা বৃদ্ধি করা অতীব জরুরী।
এসব কিছুর পরও দেশ-বিদশের বিভিন্ন সাহায্য সংস্থা ও সরকার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন টঙ্গী এরশাদ নগরের গণ মানুষের স্বাস্থ্য, চিকিৎসা ও শিক্ষা-দীক্ষায় এগিয়ে নেয়ার জন্য। এলাকার গণ মানুষের কিছুটা উন্নতি হচ্ছেনা যে এমন নয়। কিন্তু কিছু কিছু অসৎ চরিত্র লোকজন তাদের অপকর্ম থেকে বিরত না হয়ে সমাজে বিঘœতাই সৃষ্টি করছে। বড় দুঃখের বিষয়, যে সব মুরুব্বিরা ভালো পথে আনবেন, তারা নিজেরাই চরিত্রহীন অসৎ। এদের মধ্যে বøকের মাধ্যমে ১নং ইউনিট থেকে-৮নং ইউনিট, বর্তমানে ১নং বøক থেকে ৮নং বøক আওয়ামী লীগের নতুন থেকে পুরাতন যুবলীগের নেতার নাম বসিয়ে ঘর বাড়ি বিক্রি, মুরব্বিদের ছলছাতুরীতে বিপদগ্রস্থ অসহায় মানুষকে সাহায্য সহযোগিতা না করে তাদেরকে আরো কঠিন পিবদের দিকে ঠেলে দেয়। হঠকারীতার আশ্রয় নিয়ে টাকা আত্মসাধ করে বলে এরাকাবাসি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সাধু সাবধান হবেন কবে??? চোরে না শুনে ধর্মের কাহিনী। এদের মধ্যে অনেকে মাথায় টুপি পড়ে নামাযও পরে পরবর্তীতে তাদের স্ত্রী দ্বারা মাদক বিক্রি/ব্যবসা করে থাকে। এসব লোকের স্ত্রীরা এলাকার মাতব্ববরী করে, তারা সমাজ পতিদের সাথে চলা ফেরাও করে। এসব ঘটনা শুধু এরশাদ নগরই নয় আশে পাশের এলাকায়ও লক্ষনীয়। এসব গণবিরোধী কর্মকাÐ গগাজীপুর মহানগর এলাকার জনপ্রতিনিধিরাও জানেন! এছাড়াও আরো রয়েছে পুলিশের সোর্স তাদের বউ দ্বারা এলাকার আত্মীয় স্বজন দ্বারা বিক্রি করে যাচ্ছে মাদক দেদারছে… এদের অসৎ কারশাজি থেকে নিরহ এরশাদ নগর বাসী কবে নিস্কৃতি পাবে ?
দেশব্যাপী পরিচিত বিভিন্ন ধরনের অপরাধ ও অপরাধীদের বসবাসের অভয়ারণ্য টঙ্গীর এরশাদনগর। এটি গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৪৯নং ওয়ার্ড। এরশাদনগর এলাকায় প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে চলছে রমরমা মাদক ব্যবসা ও অন্যান্য অপকর্ম। প্রশাসন বিভিন্ন কৌশলে মাদক ব্যবসা বন্ধে বিভিন্ন অভিযান করে মাদক কারবারিদের হাতে-নাতে গ্রেপ্তার করার পরেও যেন কোন অদৃশ্য শক্তির বলে প্রশাসনের ভয় না করে চলছে মাদকের কারবার। মাদক ব্যাবসায়ীদের আশ্রয় ও প্রশ্রয়ে ব্যাপক ভুমিকা পালন করছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগী সোর্সেরা। উল্লেখিত মাদক ব্যাবসায়ীদের অনেকের বিরুদ্ধে একাধীক মামলা রয়েছে।
সরেজমিন এরশাদনগর এলাকার ৮টি বøকের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা যায়,
১নং বøকে ঃ ইয়াবা ও গাজা কারবারে শীর্ষে রয়েছে পারুল (পারুলী), দীর্ঘদিন যাবত ইয়াবা ও গাজার কারবার করছে সোর্স খলিলের স্ত্রী লিপি, সহযোগিতা করে ননদ ডলি, প্যাথারিন ইনজেকশন ও ইয়াবার কারবার করছে ইবরা মিয়ার মেয়ে রিতা, অলি মিয়ার মেয়ে সারমিন, এছাড়া ১নং বøকে ইয়াবা কারবার করছে সালমা আক্তার, আকাশ, হাসি, সোহান, মুন্না, মুন্নি, খলিল, জীবন, তপু, পারভেজ, আবুল, মোশারফ, মিরাজ, দাইত্তা জলিল, দিলা ও ছাত্রলীগ নেতা হায়দার। এছাড়া রয়েছে বিদেশী মদ ও বিয়ার বিক্রেতা ছাত্রদল নেতা রমজান আলী বাবু (৯৯ বাবু)। পারুলী ক্রোস ফায়ারের আসামী। মোঃ ফারুক ও ফারুকে স্ত্রী এই কাজের সাথে জড়িত বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গেদির বউ মিন্টু, তার বোন পারভীন, খালেদা, লিপি, এছাড়াও রয়েছে পারুলী বিভিন্ন লোকের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। এলাকাবাসী বলেন পারুলীর মাদকের টাকার অনেক শক্তি রয়েছে।
২নং বøকে ঃ ইয়াবা কারবারে শীর্ষে রয়েছে খালেদা ভাÐারী ও আলামিন, ইয়াবা ট্যবলেট ও গাজা বিক্রয় করছে মতি, বিপ্লব, শারমীন ভাই হযরত, হযরতের নামে ২০০০ পিচ প্যাথডিন সুয়ের মামলা রয়েছে। শারমীনের জামাই বুক কাটা বাবুর নামে একাধিক মামলা রয়েছে। এসব ধরনের মাদক (বিয়ার, ইয়াবা, গাঁজা) পাওয়া যাচ্ছে ইবু মিয়ার কাছে। এছাড়া জামাই লিটন, পুরি মাসুদের ভাগিনা সাজনসহ রয়েছে বেশ কয়েকজন। দিলার নামে ও ক্রোস ফায়ার রয়েছে।
৩নং বøকে ঃ মহাসড়ক ঘেষে বড় বাজারের প্রবেশ মুখে এক যুগের বেশি সময় গ্যাঁজার কারবার করছে সোর্স সোহাগের মা লাইলী বেগম, বেরিবাধ এলাকায় নুরু মিয়ার রয়েছে মাদক ও জুয়ার স্পট, স্ব
Leave a Reply