ফরিদগঞ্জ চাঁদপুর প্রতিনিধি:
ক্যান্সারে আক্তান্ত সন্তানের জন্য আর্থিক সহায়তার আবেদনের দেড় মাস অতিবাহিত হওয়ার পর আবেদনের অগ্রগতি কতটুকু হলো তা জানার জন্য সমাজসেবা অফিসে গিয়ে জিজ্ঞেস করতেই সমাজসেবা অফিসের সহায়কের প্রতি উত্তর, প্যাদানি খাইছেন…..?।
গতকাল ফরিদগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা অফিসে গিয়ে ক্যান্সারে আক্রান্ত সন্তানের আর্থিক সহায়তার আবেদনের অগ্রগতি জানতে চাওয়ায় রুহুল আমীনকে এমন প্রতি উত্তর শুনতে হয়েছে ওই অফিসের অফিস সহকারী ফজলে বারীর কাছ থেকে।
সমাজসেবা অফিসে গিয়ে ফজলে বারীর কাছে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি এমন বাক্য ব্যবহার করেছেন বলে দায় শিকার করে বলেন, তিনি কথাটি ওই অফিসের অপর অফিস সহকারীকে বলেছেন। ঘটনা ক্রমে সেই অফিস সহায়ককে জিজ্ঞেস করলে তিনি এমন কোন কথা শুনেন নি বলে জানান (যদি সমাজসেবা অফিসারের রুমে গিয়ে তার কথার সুর পাল্ট যায়) এমন বক্তব্যের পর পুরো স্পষ্ট হয় ফজলে বারী তথ্য জানতে চাওয়া রুহুল আমীনকেই উদ্দেশ্য করে এমন কথা বলেছে।
শুধু প্যাদানি খাইছেন তাতেই খান্ত হননি ওই অফিসের কর্মকর্তারা। ঘটনার এক পর্যায়ে কারিগরি ইন্সট্টক্টর স্মৃতি রানী ভুক্তভোগী রুহুল আমীনকে অফিস থেকে বের হয়ে যেতে বলেন এবং তাকে বের করতে চেষ্টা করেন।
ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যে যাওয়া হয় উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মাহমুদুল হাসান এর কাছে, রুহুল আমীনের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি সম্পর্কে তাকে অবগত করার পর তিনি অভিযুক্ত ফজলে বারীর সহ অফিসের অন্যান্য কর্মকর্তাদের ডেকে আনেন এবং এমন বাক্য ব্যবহার করেছেন কি না তিনি তার সত্যতা যাচাই করেন, পরে এই সংবাদকর্মীকে তিনি জানান, আমার অফিসে কে কি প্রয়োজনে আসলো সেটা বড় কথা নয়, আমার অফিসে কারো সাথে অস্বাভাবিক আচরণের করার অধিকার আমি কাউকে দেই নি,এটা যদি উনাকে বলা হয় তাহলে এর ব্যবস্থা আমরা নিবো।
এ বিষয়ে চাঁদপুর জেলা সমাজসেবা কর্মকতা রজব শুভ্র সাহার কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন ল, এ ধরণের আচরণ কখনোই কাম্য নয়, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে আমরা এর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।
এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার তছলিমু নেছাকে বিষয়টি জানালে তিনি বলেন, আপনারা যেহেতু আমাকে বিষয়টি জানিয়েছেন, বিষয়টি আমি খোঁজ নিয়ে ঘটনার সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।
Leave a Reply