ফরিদগঞ্জ চাঁদপুর প্রতিনিধি:
ফরিদগঞ্জে অবৈধ ভাবে রাতের আধাঁরে জোর পূর্বক ভাবে দোকান ঘর নির্মান করেছে একটি চক্র। ভোর বেলায় স্থানীয় লোকজনের তোফের মুখে দোকান ঘর অসম্পূন্ন রেখে পালিয়ে যায় তারা। এমন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে হতাশ স্থানীয় লোকজন। উক্ত ঘটনায় গত ৮ই মে রবিবার বিকালে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভোক্তভুগী পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ৬ নং গুপ্টি পশ্চিম ইউনিয়নের ষোলধানা গ্রামের গোলভান্ডার বাড়ির সামনে।
থানায় লিখিত অভিযোগ ও সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, বহুবছর পূর্বে মৃত আঃ ছোবান তার তিন সন্তান আমিন মাষ্টার, বজলুর হক ও আনোয়ারুল হকের নামে এই জমি ক্রয় করেছিলেন। তার মৃত্যুর পরে বড় ছেলে আমিন মাষ্টার বাবার অবর্তমানে সকল জমি নিজে দেখাসুনা করেন। বাকী দুই ভাই পেশাগত কাজে বাড়ির বাহিরে ছিলেন। এই সুযোগে আমিন মাষ্টার তার পছন্দ মতন জমি ভাইদের মধ্যে বন্টন করে দিয়েছে। এতে করে ভাইদের মাঝে অন্তদন্ধ শরু হয়। বাড়ির সামনে বাবার রেখে যাওয়া দোকান ঘর বাবা মৃত্যুর পরে বড় ভাই পরিচালনা করে আসছিলেন। কিন্তু তিনি অসুস্থ হওয়ার পর এই দোকান আর কেউ পরিচালনা না করায়। দোকান ঘর ভেঙ্গে পরে যায়। র্দীঘদিন এই জমি পরিতেক্ত অবস্থায় পড়ে থাকে।
২৬ মে ২০২২ইং তারিকে সাফকাবলা মূলে বজলুর হক একই বাড়ির আলমগীরের কাছে জমিটি বিক্রয় করে দেন। বিক্রয়ের পর থেকে জমি দখল করার জন্য আমিন মাষ্ঠারের ছেলে এনামুল, জহিরুল হক বাচ্চু ও নাতি বাবলু, বাবুগং পায়তারা করছেন বলে অভিযোগ করেন আলমগীর।
গত ৪ই মে জমি দখল করার জন্য পাশোবর্তি আষ্ঠা বাজারে অস্থায়ী ভাবে দোকান ঘর নির্মান করে সেই ঘর রাতের আধাঁরে তুলে নিয়ে উক্ত জমিতে বসানোর চেষ্ঠা করেন এনামুল গং। এসময় স্থানীয় লোকজনের তোপের মুখে পড়ে ঘর রেখে পালিয়ে যায় তারা। এমন কর্মকান্ডে হতাশ স্থানীয় লোকজন।বজলুর হক বলেন, এই জমি আমার, আমি আলমগীরের কাছে বিক্রয় করেছি। আমার ভাই আমিন মাষ্টারের জমি পরেটা মাজখানে ছোট ভাইয়ের জমি। আমি সেনাবাহিনিতে চাকরির করার কারনে বাড়িতে ছিলাম না এই সুযোগ বড় ভাইয়ের ছেলেরা আমার জমি দখল করার চেষ্ঠা করছে।
ভুক্তভোগী আলমগীরের ছেলে সজিব বলেন, এই জমি আমরা সাফকাবলা মূলে আমরা মালিক। তাদের ভাইদের মধ্যে কি হয়েছে সেটা আমরা যানি না। আমাদের জমিতে তারা জোর করে রাতের আধাঁরে দোকান ঘর নির্মান করতে ছিলো। আমাদের দেখে তারা দৌড়ে পালিয়ে যায়। তারা উল্টো ৯৯৯ ফোন করে পুলিশ নিয়ে আসে। পুলিশ এসে দেখেছে এটা একটা পরিতেক্ত জমি। এই খানে কোন পূর্বে ঘর ছিলোনা।
এনামুল হক বলেন, এই জমি আমাদের। আমার চাচার জমি পরের টা। এই জমিতে আমাদের দোকান ঘর ছিলো। প্রশ্ন আপনাদের জমি হলে দিনে দোকান ঘর নির্মান না করে রাতে গেলেন কেন এমন প্রশ্নের কোন উত্তর দিতে পারেনী তিনি।ইউপি চেয়ারম্যান বুলবুল আহাম্মেদ বলেন, আমি বিষয়টি নিয়ে উভয় পক্ষকের সাথে বসেছি। একটি সমাধান ও করে দিয়েছি। কিন্তু কোন পক্ষ আমার কথা সুনে না।
এবিষয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শহীদ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে থানা পুলিশ, থানায় দুই পক্ষের অভিযোগ
পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Leave a Reply