মেহেদী হাছান ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি :
উপজেলার ৪নং সুবিদপুর (প.) এলাকায় ইউনিয়ন পরিষদ উন্নয়ন সহায়তা তহবিলের অর্থায়ানে করা একটি রাস্তা যাচ্ছে-তাই ভাবে করে যাচ্ছে ঠিকাদার। দেখার কেউ নেই।
প্রকল্পটির নাম ‘উত্তর চৌরাঙ্গা জামাল পাটওয়ারী বাড়ির অভিমুখে রাস্তা সিসি ঢালাইকরণ।’ ঠিকাদার রাস্তাটি তার খেয়াল খুশি মত করে যাচ্ছে। অভিযোগেরভিত্তিতে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়,নিম্ন মানের শুরকী,প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম ব্যবহার করছে সিমেন্ট। ৩ ইঞ্চি ঢালাই দেয়ার কথা থাকলেও ১ ইঞ্চি দিয়ে কাজ সেরে নিচ্ছেন ঠিকাদার। এলাকাবাসীর অভিযোগ ঠিকাদার ইমাম হোসেন বর্তমান চেয়ারম্যানের ভাই হওয়াতে ইচ্ছা মত কাজ করে যাচ্ছে।
একই প্রকল্প হলেও দুই বাড়ির দু’টি রাস্তা হচ্ছে। একটি রাস্তা একদিন আগে (৩ জুন) করেছেন। একদিন পরই বৃষ্টির পানিতে উপরের আস্তর খসে গিয়ে ইটের কনা
দৃশ্যমান হয়ে গেছে। নিম্ম মানের ঢালাই এর কারনে এই অবস্থা বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সচিবের অভ্যন্তরিন কাজের তদারকির কথা থাকলেও তিনি ঢালাই চলাকালিন সময় একটি বারের জন্যও প্রকল্প এরিয়া পরিদর্শন করেননি। মূলত তার গাফিলতের কারনেই এ সমস্যা হয়েছে বলে এলাকাবাসী মনে করেন।
কাজের তদারকি করা এক ব্যক্তির সাথে এ বিষয়ে কথা বলতে গেলে তিনি কথা না বলে এড়িয়ে যান। প্রকল্পের ঠিকাদার চেয়ারম্যানের ভাই মো. ইমাম হোসেনকে না পেয়ে তার মুঠো ফোনে কল দেয়া হয়। একাদিক কল দিয়েও তার সাথে যোগাযোগ করা যায়নি বলে বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে ৪নং সুবিদপুর ইউনিয়ন পরিষদ সচিব আমির হোসেন বলেন, ‘এই প্রকল্পের ঠিকাদার চেয়ারম্যানের ভাই। উনারাতো সঠিকভাবেই কাজ করার কথা।
সমস্যা নেই, পরীক্ষা-নিরিক্ষার পরই বিল পাস হবে।’
চেয়ারম্যান মো. মহসিন হোসেন বলেন, ‘আমি এখনো রাস্তার কাজ দেখিনি। দেখা ছাড়া কোনো বক্তব্য দিতে পারবো না।’
এ বিষয়ে কথা বলতে দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে গিয়ে তাকে না পেয়ে একাধিকবার তাঁর মুঠো ফোনে কল দিয়ে পাওয়া যায়নি। তাই তার বক্তব্যও নেয়া সম্ভব হয়নি।’