পরীক্ষা কেন্দ্রের বাহিরে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাব্বির অনন্য দৃষ্টান্ত, প্রশংসিত ছাত্রলীগ
পরীক্ষা দিচ্ছে মেয়ে লামিয়া । প্রিয় সন্তানকে নিয়ে বাসায় ফেরার অপেক্ষায় জামালপুর জিলা স্কুল কেন্দ্রের বাহিরে রাস্তার পাশে একটি ইটের উপর বসে প্রহর গণছিলো মা মিতা বেগম ।
একই রকম চিত্র শহরের আর একটি কেন্দ্র জামালপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বাহিরে। নাসিমা আক্তারের অপেক্ষায় মা আফছানা বেগম। তিনি বসে আছেন একটি দোকানের সিঁড়িতে।
শুধু জামালপুর জিলা স্কুল বা জামালপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রেই এ চিত্র নয়, জেলায় এসএসসি ও সমমানের সব কেন্দ্রেই কম বেশি এমন চিত্র দেখা যায়। শুধু ভিন্ন চিত্র ছিলো জামালপুর জিলা স্কুল কেন্দ্রের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জামালপুর জিলা স্কুলে বরাবরের মত কয়েক শত শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। এসব শিক্ষার্থীর অপেক্ষায় আছে শতাধিক অভিভাবক।
জামালপুর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাফিউল করিম রাব্বী’র উদ্যোগে দাঁড়িয়ে থাকা অভিভাবকদের জন্য বসার স্থান করা হয়েছে।
সেখানে রাখা হয়েছে সাড়িবদ্ধ চেয়ার,করা হয়েছে মিনারেল ওয়াটারের ব্যাবস্থা। সাথে রয়েছে পিপাসিত অভিভাবকদের জন্য লেবুর শরবত। আর এই মহৎ কর্মযজ্ঞে নাফিউল করিম রাব্বী এর সাথে সহযোগিতা করছে জেলা ছাত্রলীগের অন্যান্য নেতাকর্মীরা। শুধু জামালপুর জিলা স্কুল নয়। বেলটিয়া উচ্চ বিদ্যালয়েও একই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এমন উদ্যোগের বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছেন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাফিউল করিম রাব্বী। প্রশংসিত হয়েছে জামালপুর জেলা ছাত্রলীগ।
জামালপুর জিলা স্কুলে পরীক্ষা দিতে আসা এক পরীক্ষার্থীর অভিভাবক মুনিরা বেগন বলেন, বাসা থেকে আসার সময় পথে ভেবে ছিলাম, এতক্ষন কোথায় দাঁড়িয়ে থাকবো, কিভাবে সময় কাটবে? কিন্তু এসে চেয়ার,শরবত ও পানির ব্যবস্থা দেখে মনটা জুড়িয়ে গেছে। এখন গল্প করতে করতে সময় চলে যাচ্ছে।
পাশে বসা আরও এক অভিভাবক শফিক মন্ডল বলেন, যারা চেয়ার দিয়ে বসার ব্যবস্থা করে গেছে, তাদের পরিচয় আমি জানি না। তবে দোয়া করি, আগামীতেও যাতে সমাজের ভালো কাজগুলোতে ওরা অবদান রাখতে পারে।
জামালপুর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাফিউল করিম রাব্বী বলেন, শিক্ষার্থীরা যেন পরীক্ষা দিতে এসে কোন বিড়ম্বনায় না পড়ে। সেই লক্ষ্যে আমরা নিরলসভাবে ভাবে কাজ করে যাচ্ছি। এছাড়াও অভিভাবকদের বসার জায়গা সহ তাঁদের বিভিন্ন সেবা দানে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা পাশে আছে। পরীক্ষার প্রথম দিনই চেয়ার, মিনারেল ওয়াটার ও শরবতের ব্যবস্থা করা হয়েছে । আগামী দিন গুলোতেও এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরও বলেন, জামালপুর জেলা জুড়েই প্রত্যেকটি পরীক্ষা কেন্দ্রে এ ধরনের সমস্যা রয়েছে । জামালপুর জেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগ হতে পারে এক অনন্য দৃষ্টান্ত। আমরা আশারাখি সামনের পরীক্ষাগুলোতে জামালপুর জেলা ছাত্রলীগের প্রতিটি ইউনিট বড় আকারে এ উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
জামালপুর জেলা ছাত্রলীগেরসাধারণ সম্পাদক নাফিউল করিম রাব্বী ও তার সাথে থাকা সকলকেই ধন্যবাদ জানিয়েছেন উপস্থিত অভিভাবক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সহ অন্যান্যরা।
এছাড়া ছাত্রলীগের হাতে নেওয়া এমন কর্মসূচী ছাত্র রাজনীতিতে একটি স্ট্যান্ডার্ড তৈরি করেছে। যা ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে একধরনের ইতিবাচক প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করেছে, বলে মনে করেন জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।