বিশেষ প্রতিনিধি :: র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব
নিয়মিত ভাবে জঙ্গী, সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, মাদক, অস্ত্রধারী অপরাধী, পর্নোগ্রাফি, ভেজাল পণ্য, ছিনতাইকারী, মাদকসেবী, মানব পাচারকারীসহ ধর্ষণ ও হত্যা মামলার আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে আসছে।
এর’ই ধারাবাহিকতায় নারায়ণগঞ্জের বন্দর থেকে দুই ভুয়া চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছে র্যাব। গতকাল মঙ্গলবার (৮ মার্চ) সকালে লাঙ্গলবন্দ চিড়াইপাড়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। অভিযানে গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো, নারায়ণগঞ্জের বন্দরের জাংগাল এলাকা মনির হোসেনের দুই ছেলে মো. সোহাগ (৩৯) এবং নুর মোহাম্মদ সুজন (২৭)। তাদের আরেক ভাই পালিয়ে গেছেন।
আজ বুধবার (৯ মার্চ) দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজীতে অবস্থিত র্যাব-১১-এর সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গণমাধ্যমকে এই তথ্যটি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব-১১-এর উপ-পরিচালক এ কে এম মুনিরুল আলম জানান, গ্রেফতার দুই ভাই বন্দরের চিড়াইপাড়া এলাকার মা মেডিকেল হল অ্যান্ড ডক্টরস চেম্বার প্রতিষ্ঠানের পরিচালক। তারা কম্পাউন্ডার হিসেবে পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন রোগ নির্ণয়ের জন্য রোগীদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করতেন। সেই সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে বিভিন্ন ধরনের ভ্যাকসিন পুশ করেন বলে জানাতেন। তবে তাদের কারোর মেডিকেল এবং মেডিসিন বিষয়ক শিক্ষাগত যোগ্যতার কোনো সার্টিফিকেট নেই।
তাদের আপন ছোট ভাই সোহেল মাহমুদ খান (২৬) একজন ভুয়া চিকিৎসক। তিনি বিএমডিসি অনুমোদিত কিংবা একাডেমিক সনদধারী কোনো নিবন্ধিত চিকিৎসক না। গ্রেফতার করার আগেই তিনি র্যাবের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে যান।
র্যাব আরও জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা সাংবাদিকতার পরিচয় দিলেও তাদের সাংবাদিকতার ন্যূনতম যোগ্যতা নেই। তারা দীর্ঘদিন সাংবাদিকতাকে পুঁজি করে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতেন। তারা ড্রাগ লাইসেন্স ছাড়াই ফার্মেসিতে বিভিন্ন ধরনের যৌন উত্তেজক ওষুধ এবং স্বল্পমূল্যে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি করতেন।
এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানায় দেশের প্রচলিত আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে বলেও জানান র্যাবের উপ-পরিচালক এ কে এম মুনিরুল আলম।
Leave a Reply