নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
সাফ চ্যাম্পিয়নশীপে পাঁচ ম্যাচে যার বিপক্ষে গোল হয়েছে মাত্র একটি। তাও সেটা ফাইনালে।
টুর্নামেন্ট সেরা গোলকিপার রাঙামাটির দূর্গম ঘিলাছড়ি ইউনিয়নে ভুইয়াদম গ্রামে জন্ম রুপনা চাকমার।বাবা হারা মেয়ের বেড়ে ওঠার গল্প ছিল করুন।
শিশু কালেই হারায় বাবা গাজামনি চাকমাকে,তার মা কালাসোনা চাকমা ছেলে মেয়েদের ভরন পোষন ও লেখা পড়ার খরচ জোগাতে পারা টা ছিল খুবই দুর্বিষহ।
রুপনা ভাই বোনের মধ্যে সকলের ছোট উপজেলার হাজাছড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তার পঞ্চম শ্রেনিতে পড়াশোনা কালে রাঙামাটির ঘাগড়া ইউনিয়ন থেকে এক ফুটবল কোচার ঘিলাছড়ি তার বিদ্যালয়ে আসে এবং তার খেলাধুলার দূরদর্শীতা দেখে নিয়ে যায় ঢাকায়, এ থেকে বেড়ে ওঠা টুর্নামেন্ট সেরা৷ গোলকিপার রুপনা চাকমা।
তার মা কালাসোনা চাকমা বলেন,তার দুই ছেলে অতিলা চাকমা ও শান্তি জীবন চাকমা আর দুই মেয়ে শান্তি দেবি চাকমা ও রুপনা চাকমা,বাবা হীনা তাদের বড় করতে আমার দূর্বিষহ দিনিগুলির কথা বললে শেষ হবে না তবে আমি খুবই আনন্দিত আমার মেয়ের এই বিজয় দেখে এই বলে অশ্রু ঝরে কাদতে লাগলেন রুপনা মা।
রুপনার বড় বোন শান্তি দেবি চাকমা বলেন, আমার ভোন আজ এই অবস্থানে এসেছে একজন নারী হিসেবে আমি খুবই গর্ব করি।আমাদের এই হত দরিদ্র পরিবারের পক্ষে কখনো সম্ভব ছিল না একজন রুপনা চাকমার তাকে সেই কোচার আনকেল ঢাকা নিয়ে গেলেন এবং জার কারনে রুপনা বিশ্বজয় করেছে আমর খুবই ভালো লাগছে।
এদিকে রুপনার এই বিজয় দেখে উল্লাসে মেতেছে পুরো এলাকাবাসী,তারা বলেন দূর্গম পাহাড়ে অনেক লুকিয়ে আছে এমন রুপনা সরকারের সহোযোগিতায় রুপনা দের বেড়ে ওঠার জায়গা করে দেয়ার আহবান।
এ বিষয়ে নানিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রগতি চাকমা বলেন, রুপনা চাকমা টুর্নামেন্ট সেরা গোলকিপার হয়েছে তা শুনে পুরো নানিয়ারচর বাসি গর্বিত,রুপনার জন্য শুভিকামনা,ও অভিনন্দন রইল।