আপন আর্য্য,টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ বাহিনীতে উদ্দীপনা যোগানোর লক্ষে শ্রেষ্ঠ পুলিশ সম্মাননা ব্যবস্থা চালু করেন বর্তমান টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার। এই সম্মাননা একাধারে টানা ৬বার (গত ফেব্রুয়ারি মাস হতে জুলাই মাস পর্যন্ত) শ্রেষ্ঠ মাদক উদ্ধারকারী ইউনিট সম্মাননায় ভূষিত হন টাঙ্গাইল জেলা গোয়েন্দা পুলিশের দক্ষিন বিভাগের অফিসার ইনচার্জ(ও.সি) মোঃ দেলওয়ার হোসেন।
দেলোয়ার হোসেন গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী থানাধীন চাপ্তা গ্রামে ১৯৬৬ সালের ১৪ই জুন জন্ম গ্রহন করেন। তার বাবার নাম মৃত এছহাক মিনা এবং মায়ের নাম শাহেদা বেগম । তিনি রাতইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে ৫ম শ্রেণী এবং রাতইল এন.এন.আই থেকে ১৯৮২সালে এস.এস.সি. পাশ করেন। এরপর রামদীয়া সরকারি কলেজ থেকে এইচ.এস.সি. ও গ্রেজুয়েট ডিগ্রী শেষে ১৯৯০ সালে সরাসরি সাব-ইন্সপেক্টর (এস.আই) পদে পুলিশে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকে তিনি তার সততা, নিষ্ঠা ও সাহসীকতার মাধ্যমে বিভিন্ন জেলায় সাফল্যের সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছে ।
তার কর্মজীবনে সফলতার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ১৯৯৫ সালে যশোর জেলায় চাকরি করেন তখন সেই জেলায় সর্বহারার আধিপত্য ছিলো অনেক বেশি সেই সময় দক্ষিণ বাংলার সর্বহার লিডার সন্ত্রাসী জহির কামাল বাচ্চু কে অস্র সহকারে সহযোগী সহ গ্রেফতার করেন যেই কারনে তিনি পরবর্তী সময় সন্ত্রাসী হামলার স্বীকার হয়ে ছিলেন সন্ত্রাসীদের গুলিতে তার পাজোর এফোড় ওফোড় হয়ে গিয়ে ছিলো তিনি ৩ মাস চিকিৎসাধীন অবস্থায় বদলি হয়ে অন্যাত্র যোগদান করেন কিন্তু জহির কামাল বাচ্চু গ্রেফতার হওয়ায় পুরো সন্ত্রাসী বাহিনী দুর্বল হয়ে পরে পরবর্তীতে বাহিনীর অন্যান্য সদস্যদের পুলিশ গ্রেফতার করিতে সক্ষম হয়। তিনি সিলেট রেঞ্জে অফিসার ইনচার্জ (ও.সি.) হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় ৪ বার সিলেট রেঞ্জের সেরা অফিসার ইনচার্জ পুরস্কার লাভ করেন। এ ছাড়াও বিদেশী স্নাইপার গান সহ ভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে আই.জি.পি. পদক প্রাপ্ত হন। এরপর চট্টগ্রামের শীতাকুন্ড থানায় গত সংসদীয় নির্বাচনে অফিসার ইনচার্জ( ও.সি) হিসেবে গুদায়িত্বরুত্বপূর্ণ পালন করেন। সেখান থেকে গাজীপুর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশে কিছুদিন কর্মরত থেকে গত ২০২১ সালের ২১শে এপ্রিল মাসে টাঙ্গাইল জেলা গোয়েন্দা (ডি.বি) পুলিশে যোগদান করেন। তিনি টাঙ্গাইল জেলা গোয়েন্দা (ডি.বি.দক্ষিন) শাখায় অফিসার ইনচার্জ(ও.সি.) হিসেবে নিযুক্ত হয়ে বিভিন্ন ডাকাতি, ছিন্তাই ও হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন সহ বিভিন্ন সময় মাদক উদ্ধারে অত্যান্ত সাহসী ভূমিকা পালন করে ব্যপক সফলতা অর্জন করেছেন।
টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ সুপার তার পুলিশ বাহিনীকে উজ্জীবিত রাখতে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সম্মাননার ব্যবস্থা করেছে গোয়েন্দা বিভাগ ডিবি দক্ষিণের অফিসার ইনচার্জ দেলোয়ার হোসেন তিনি তার নিষ্ঠা, সততা, দূরদর্শিতা, মেধা, ও প্রবল ইচ্ছাশক্তিকে কাজে লাগিয়ে তিনি টানা ০৬বারের মত শ্রেষ্ঠ মাদক উদ্ধারকারী ইউনিট নির্বাচিত হয়ে সম্মাননা পুরস্কার পেয়েছেন।
এ বিষয়ে গোয়েন্দা পুলিশ (ডি.বি.) দক্ষিন শাখার অফিসার ইনচার্জ(ও.সি.) মোঃদেলওয়ার হোসেন এক সাক্ষাতকারে দৈনিক কালের বার্তা কে জানান আমি ১৯৯০ সালে সরাসরি এস আই পদে যোগদান করি ট্রেনিং শেষে আমারা যে শপথ নিয়েছিলাম সেই সফত বুকে লালন পালন করে নিষ্ঠার সাথে কাজ করে আসছি শপথের কথা গুলো অক্ষরে অক্ষরে ধারন এবং পালন করলে সাফল্য অনিবার্য। এছাড়া উর্ধবতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ নিষ্ঠা সততা ও সাহসীকতার সাথে পালন করলে সফলতা আসবেই। টাঙ্গাইলে একাধারে ৬বার অর্থাৎ গত ফেব্রুয়ারি মাস হতে জুলাই মাস পর্যন্ত শ্রেষ্ঠ মাদক উদ্ধারকারী ইউনিট সম্মাননায় ভূষিত হওয়ার বিষয় তিনি জানান টাঙ্গাইলে আমাদের মাননীয় পুলিশ সুপার সরকার মোঃ কায়সার স্যারের দিকনির্দেশনায় আমি ও আমার টিম সকলের প্রচেষ্টায় আমি এ সম্মাননা পেয়েছি । তাই এ সম্মাননা সুধু আমার একা নয় এটা আমার টিমের সকলের অর্জন।