রেজাউল কবির রাজিব টঙ্গী :
টঙ্গীতে গাজীপুর মহানগর যুবলীগের ১নং যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ সাইফুল ইসলামের নামে একটি পত্রিকায় মিথ্যা বানোয়াট উদ্যেশে প্রনোনিত মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন যুবলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম। গতকাল শনিবার দুপুরে টঙ্গীর কাঠালদিয়া এলাকায় তার নিজ বাড়ির অফিস রুমে মিথ্যা ও বানোয়াট উদ্দেশ্যে প্রনোনিত সংবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনে করেন।
যুবলীগ নেতা মো সাইফুল ইসলাম বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভুল তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। আমি মাদক, দূর্নীতি ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে কাজ করায় ও আমার ভালো কাজের ঈর্ষান্বিত হয়ে আমাকে সমাজে ও রাজনৈতিক মাঠে হেয় প্রতিপন্ন করা জন্য একটি মহল চেষ্টা করে যাচ্ছে। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে বলতে পারি কোনো অন্যায় সাথে জড়িত না। অন্যায় করে থাকলে আপনারা সঠিক তথ্য উদঘাটন করে বিচার করেন। তিনি নিজেকে পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবীদ ও ব্যবসায়ী বলে দাবি করেন। এই মিথ্যা বানোয়াট ও উদ্দেশ্যে প্রনোনিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন গাছা থানা যুবলীগের সভাপতি প্রার্থী মোঃ ইসমাইল হোসেন, টঙ্গী পূর্ব থানা যুবলীগের সভাপতি প্রার্থী এস.এম মঞ্জু রণি, ৫২নং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা মনির হোসেন, এস.এম শরিফুল ইসলাম বাধঁন। রুবেল খান, জাকির হোসেন, জহির হোসেন, আবুল হোসেন ৫৩নং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা এড. বিলাল হোসেন, সোহেল রানা, রমজান আলী মোলা, ৫৪নং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম রফিক, ওয়াদুদুর রহমান, রাশেদুল জামান, ৫১নং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা মোস্তফা মিয়া, ৪৯নং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা ফজল করিম, ৫৫ নং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা আল আমিন হোসেন, ৪৮নং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা মোঃ মাসুদ মিয়া প্রমুখ।
এসময় যুবলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম বলেন, আজ সত্য মিথ্যার পিছনে আমার বিরুদ্ধে যে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে তা অনেকটাই বিনোদনমূলক এখানে সত্যকে কেউ নিতি বাচক ভাবে প্রচার করা হয়েছে। আমার কি কি ব্যবসা আছে তা সবাই জানে। এখানে লুকোচুরি করার কিছুই নেই। তবে সাংবাদিক সাহেব যে বললেন, রাজধানীর উত্তরার ৭নং সেক্টরে ২টি ও ১০ সেক্টরে রয়েছে বিলাশ বহুল ফ্ল্যাট রয়েছে বলে সংবাদে বলা হয়েছে। এতে আমি অনেক খুশি হয়েছি। আমি সাংবাদিক সাহেবেকে বলব ফ্ল্যাটের মালিকানা আমাকে বুঝিয়ে দিবেন। এছাড়াও সংবাদে বলা হয়েছে টঙ্গী দেওড়া মিত্তি বাড়ি এলাকায় ২ বিঘা জমির উপর রয়েছে বড় দুটি অট্রোলিকা দাবি করা হয়েছে। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। টঙ্গীর কাঠালদিয়া, ২ বিঘা জমি, একই এলাকায় ৫ কাঠা জমিতে ৩তলা বাড়ি ও ১ বিঘা জমিতে রয়েছে একটি গোডাউন রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। এছাড়া আমি কোন ধরনের জমি দখল বা জুট ব্যবসার সাথে জড়িত নেই। তিনি সংবাদে আরো বলেছেন, পদ কিনেন, পদ বেছেন, পদ বিক্রির যে কথা সংবাদে লিখেছেন তা সম্পূর্নভাবে ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। তিনি আরো লিখেছেন আমি রাজনৈতিক মাঠে নেই, আমি ১৯৯৪ সাল থেকে রাজনৈতিক মাঠে সকল আন্দোলন সংগ্রামে আছি। সে সময় বিএনপির জামায়াত সরকার ক্ষমতা ছিল ২০২২ সালে আমি তখন টঙ্গী সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদ নি র্বাচনে অংশ গ্রহণ করি। এবং বিজীয় হওয়া সত্তে¡ও নানা চক্রান্তের মাধ্যমে আমাকে ক্ষমতা হস্তান্তর করেনি। ছাত্র সংসদ কর্তৃপক্ষ। তবে ছাত্রলীগের সমর্থন পাই বিড়ধী দলের থাকার কারণে নানা নির্যাতন নিড়িরণের স্বীকার হই। সে সময় আমি টঙ্গী কলেজ ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। পাশাপশি তৎকালীন সময়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য হয়ে ছিলাম। এর পর গাজীপুর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করছি। এছাড়াও টঙ্গী সরকারি কলেজ, বি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করছি। পাশাপাশি টঙ্গী সরকারী কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় ম্যাগাজিন বিষয়ক সম্পাদক নির্বাচন কবরি। আরি রাজনীতি করি সাধারণ মানুষের জন্য যে রাজনীতি ঙ্গবঙ্গু করেছেন এবং জননেত্রী শেখ হাসিনা করছেন। আমি তাদের আদর্শের রাজনীতি করি। তিনি সংবাদে আরো লিখেছেন তনি গাজীপুরের নতুন পয়সাওয়ালা। আমি বলব প্রতিটি পুরতনের শুরুই হয় নতুন দিয়ে।
আমি নিজের পরিশ্রম ও মেধার বলে ব্যবসার মাধ্যমে আমার যেই সম্পদ করেছি তা আপনার ভাষ্যমতে নতুন পয়সা ওয়ালা হলেও গর্ভের বিষয়। কারণ এটা আমি নিজ যোগ্যতায় হয়েছে। কোন অসৎ উপায় নয়, আমার কি কি সম্পদ আছে তা সরকারের জানা। আমার বৈধ সম্পদের কর নিয়মিত প্রদান করি। আমার আয়কর প্রধানের সার্টিফিকেট আছে।তিনি আরো বলেছেন, মাদক নিয়ন্ত্রণ বা মাদকের সাথে যদি আমি জড়িত থাকতাম তাহলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অবশ্যই আমার বিরদ্ধে ব্যবস্থধা নিতো। আমার যে মাদক ব্যবসার তালিকায় নাম আছে সেটা অবশ্যই দেখানোর জোর দাবি যানাচ্ছি। আমি তো জীবনে ধুম পান করিনি। এড়াও আমি নিজে ছাত্র জীবন থেকেই এলাকার মানুষের সুবিধার্থে গভীর নলকুপ ও ঘরহীন মানুষকে ঘর নির্মাণ রাস্তা ঘাট নির্মাণসহ নানা উন্নয়ন মূলক কাজে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মসত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে ১০০টি গৃহহীন মানুষের মাঝে ঘর নির্মান প্রকল্প ও গভীর নলকুপ স্থাপন প্রকল্প হাতে নিয়েছি। এ প্রকল্পগুলো এখনো চলমান আছে। এসবের কারণে সাধারণ মানুষ আমাকে জনপ্রতিনিধি হিসেবে চায়। তারা চায় আমার মত সৎ ও জনদরদি মানুষ জনপ্রতিনিধি হলে সমাজে আরো উন্নয়ন হবে। আমি আপনাদের কাছে এবং অপপ্রচারকারীদের বলতে চাই আপনারা এসব করে দলের ক্ষতি না করে আসুন এসব ছেড়ে মানুষের জন্য রাজনীতি করি। বঙ্গবন্ধু ও জননেত্রী শেখ হাসিনার আদর্শ রাজনীতি করি। আমি আবার বলতে চাই। আমি অন্যায়ের কাছে মাথা নত করি না। কারণ বঙ্গবন্ধু ও জননেত্রী শেখ হাসিনা ও কখনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত বা আপোষ করেন নাই।
Leave a Reply