1. haimcharbarta2019@gmail.com : haimchar :
চাঁদপুর মৈশাদীতে ডাকাতিয়া নদীর ভাঙনে দিশাহারা গ্রামবাসী - হাইমচর বার্তা
রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:২৭ অপরাহ্ন

চাঁদপুর মৈশাদীতে ডাকাতিয়া নদীর ভাঙনে দিশাহারা গ্রামবাসী

  • Update Time : মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৩
  • ৭৪ Time View

বিশেষ প্রতিনিধিঃ

চাঁদপুর সদর উপজেলার মৈশাদী ইউনিয়নের মৈশাদীতে শুরু হয়েছে ডাকাতিয়া নদীর ভাঙ্গন। নদীর ভাঙ্গন প্রকোপ আকার ধারন করায় ভিটেমাটি হারানোর ভয়ে দিশেহারা গ্রামবাসী ওই গ্রামের ইউসুফ খান বাড়ির পূর্ব পাশে বয়ে যাওয়া ডাকাতিয়া নদী ভয়াবহ রুপ নিচ্ছে। গত তিন দিনে ডাকাতিযার করাল গ্রাসে তলিয়ে গেছে প্রায় এক শত মিটার এলাকা। স্থানীয় জনগণের মাঝে ছড়িয়ে পড়ছে আতঙ্ক। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান হঠাৎ ভয়াবহ ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে এলাকাটি। ডাকাতিয়া নদী প্রতিবছর অল্প অল্প করে ভাঙ্গে । গত এক দশকে শুধু মৈশাদীতেই ডাকাতিয়া নদীর ভাঙনে বিলীন হয়েছে প্রায় এক কিলোমিটার এলাকার অসংখ্য বাড়িঘর ও ফসলি জমি । এত ক্ষতির পরও বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজর এড়িয়ে যায়। অচিরেই নদী ভাঙ্গন রোধে কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে ভিটেমাটি হারিয়ে রাস্তায় বসবাস করতে হবে ওই এলাকার নদীর পাশে বসবাসকারী প্রায় পাঁচ শতাধিক পরিবারকে।

ডাকাতিয়া নদীর ভাঙ্গন সম্পর্কে দৈনিক চাঁদপুর খবরকে আবুল বাশার জানান প্রতিবছর নদী আমাদের জমি ভেঙ্গে নিয়ে যায়। আমরা স্থানীয় চেয়ারম্যান মেম্বারসহ সকলকে অবহিত করেছি। সবাই আশ্বাস দিয়ে যায়। কিন্তু কাজ হয় না। গত ১০ বছরে আমাদের এলাকার এক কিলোমিটারের মতো জমি নদীতে তলিয়ে গেছে। অসহায় হয়েছে প্রায় শতাধিক পরিবার। এখন আমাদের ভিটেবাড়ি নদীতে তলিয়ে যাচ্ছে।

স্হানীয় আসমা বেগম জানান এখন নদীটি যেখানে ভাঙছে সেখানে আমাদের বসত ঘর, রান্নাঘর ছিল। প্রতিবছর এখানে নদীতে ভাঙ্গে। তাই গত বছর ঘরগুলো সরিয়ে নিয়েছি। এরপর আর জায়গা নেই। নদীতে ভাংলে কি করব জানিনা।

নদী থেকে প্রায় একশত মিটার দূরত্বে রয়েছে রেল স্টেশন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বাজারসহ অসংখ্য মানুষের ঘরবাড়ি। নদী ভাঙ্গন রোধ না হলে হুমকির মুখে পড়বে এসব প্রতিষ্ঠান ও নানা স্থাপনা। তাই তারা নদী ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানান। সাথে নদী ভাঙ্গন রোধে প্রধানমন্ত্রী ও স্থানীয় এমপি শিক্ষামন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেন।

স্থানীয় মৈশাদী ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম পাটওয়ারী জানান,ডাকাতিয়া নদীর ভাঙনের বিষয়টি বহুবার কতৃপক্ষকে জানিয়েছি। বিভিন্ন মিডিয়ায় সাক্ষাৎকার ও সচিত্র প্রতিবেদন করা হয়েছে। কিন্তু মৈশাদীবাসীর দু:খ লাগব হয়নি একটুও ।

চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাখাওয়াত জামিল সৈকত জানান,ভাঙনের বিষয়টি জেনে আমি আমার দপ্তরের লোক পাঠিয়েছি । আজ কালের মধ্যে আমি ভাঙন স্থলে যাব ।

এ ব্যাপারে চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম জানান ডাকাতিয়া নদীর বেশ কয়েকটি এলাকা ভাঙন রোধে একটি ডিপিপি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। এটি পাস হলেই ভাঙন রক্ষায় কাজ করা হবে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও
© স্বর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Customized By BreakingNews