মুরাদুজ্জামান জামালপুরঃ
ফ্লিমি স্টাইলে আটোবাইকে তুলে এনে রায়হান,যোবায়ের,রাহাত,লিমন,বাবু নামে ৫ স্কুল ছাত্রকে গাছের সাথে বেঁধে অমানুষিক নির্যাতন করেছে কৃষকলীগ নেতা।
অমানবিক ঘটনাটি ঘটেছে জামালপুর শহরের বগাবাইদ এলাকায়।
খবর পেয়ে পুলিশ ওই ৫ ছাত্রদের উদ্ধার ও নির্যাতনকারী পৌর কৃষকলীগের সহ-সভাপতি শেখ মোহাম্মদ রুকন ও মোতালেব নামে দুই জনকে আটক করেছে।
স্থানীয় সুত্র জানায়, শনিবার সকালে ফুটবল খেলা নিয়ে বাবু ও রায়হানের সাথে কৃষকলীগ নেতা রুকনের ছেলে বুলবুলের মারামারি নিয়ে ঘটনার সুত্রপাত।
এরপর রায়হান ও বাবু তাদের বন্ধুদের নিয়ে আজাদ সহকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে খেলতে যায়। তারা ফুটবল খেলার সময় কৃষকলীগ নেতা রুকন ও তার ভাই মোতালেব দলবল নিয়ে অটোবাইকে ওই ৫ স্কুল ছাত্রকে তুলে আজাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়ে আসে।তারপর তাদেরকে গাছের সাথে বেঁধে বেদম মারধর করে।
খবর পেয়ে নির্যাতিত স্কুল ছাত্রদের অভিভাবক ঘটনাস্থলে গেলে তাদের উপর হামলা ও মারধর করা হয়।পরে ৯৯৯ এ ফোন দিলে জামালপুর সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ৫ ছাত্রকে উদ্ধার করে।
এসময় নির্যাতিত ছাত্রদের অভিযোগে পৌর কৃষকলীগের সহ-সভাপতি শেখ মোহাম্মদ রুকন ও তার ভাই শেখ মোতালেবকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
জামালপুর জেলা শিশু সুরক্ষা কমিটির সভাপতি জাগাঙ্গীর সেলিম বলেন, শিশুদের উপর যে অমানবিক নির্যাতন গাছের সাথে বেঁধে বেদম প্রহার এটা আমাদের শিশু আইন ও শিশু রক্ষা নীতিমালা এবং জাতি সংঘের শিশু অধিকার সনদের পরিপন্থী। এটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। যে ঘটনা ঘটিয়েছে তা আমরা প্রত্যাশা করছি না।আমরা এই ঘটনার উপযুক্ত তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।
জামালপুর সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নূর মোহাম্মদ জানিয়েছেন, আমরা ৯৯৯ লাইনের এর মাধ্যমে খবর পাই বগাবাইদ এলাকায় ৫ স্কুল ছাত্রকে গাছের সাথে বেঁধে রেখে নির্যাতনের।সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিক ভাবে পুলিশ পাঠিয়ে নির্যাতিতদের উদ্ধার করে নিয়ে আসি। ২ জনকে আটক করা হয়েছে। নির্যাতিতদের পক্ষে অভিযোগ প্রাপ্তি স্বাপেক্ষে আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply