কালিহাতি প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রবাসীর স্ত্রীকে গাছের সাথে বেধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। বুধবার সকালে উপজেলার নাগবাড়ী ইউনিয়নের মরিচা পাইকরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ভুক্তভোগী ওই নারীকে উদ্ধার করে।
অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, মরিচা পাইকপাড়া গ্রামের কোরবান আলীর ছেলে নাগবাড়ী ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোশারফ মিয়ার সাথে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো প্রবাসীর স্ত্রী লায়লা আক্তারের সাথে। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে একাধীকবার সালিশ হয়েছে। মীমাংসা না হওয়ায় সেই আক্রোসে নানা ভয়ভীতি ও বাড়ি থেকে উচ্ছেদের চেষ্টা চালান ওই ইউপি সদস্য। সম্প্রতি মোশারফ তার এক সহযোগীকে নিয়ে জোরপূর্বক ওই নারীকে ধর্ষনের চেষ্টা করেন। ওই নারীর ডাক চিৎকারে মোশারফ পালিয়ে যান। এ ঘটনায় গত ১৯ এপ্রিল টাঙ্গাইল আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী ওই নারী। ক্ষিপ্ত হয়ে মোশারফ হোসেন তার পরিবারের লোকজন দিয়ে বুধবার সকালে ভুক্তভোগী নারীকে কাঁঠাল গাছের সঙ্গে বেধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করেন। খবর পেয়ে দুপুরের দিকে ওই নারীকে কালিহাতী থানা পুলিশ উদ্ধার করে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, মোশারফ মিয়া এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কেও কোন কথা বলতে সাহস পায়না। তবে এ ঘটনার দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি দাবি করেন তারা।
ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন,আমার স্বামী দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকায় মোশারফ আমাকে বিভিন্ন সময় কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। আমি তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় মোশারফ তার মা-বোনদের দিয়া আমাকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদের চেষ্টা চালায়। বাড়ি থেকে না যাওয়ায় কাঠাল গাছের সাথে রশি দিয়ে আমাকে বেঁধে রাখে। এ সময় আমার মেয়ে চিৎকার করতে থাকে। পরে পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করেন।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মোশারফ হোসেন বলেন, আমার বৈধ জমি থেকে আমার মা বোন কাঠাল পাড়তে গেলে ওই মহিলা বাঁধা দেয়। পরে একপর্যায়ে তাকে গাছে বেঁধে রাখে।
এ বিষয়ে কালিহাতী থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাজু আহমেদ জানান, ৯৯৯ ফোন পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ওই নারীকে উদ্ধার করা হয়। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Leave a Reply