দিনের ব্যস্ততা শেষে কনকনে শীতে যখন বাড়িতে সবাই ঘুমিয়ে পড়েছিলেন তখন বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের আগুনে পুড়েছে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার গুপ্টি পশ্চিম ইউনিয়নের হুগলি গ্রামে ছোট বড় ১২ টি ঘর।
১৫ জানুয়ারী রবিবার দিবাগত-রাত ২ টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, বাড়ির লোকজন যখন দিন শেষে যে যার ঘরে ঘুমে আচ্ছন্ন তখন মধ্যরাতের আগুনে সব নিঃশেষ হয়ে গেছে। আগুন লাগার পরপরই মুহূর্তের মধ্যেই আগুনের লেলিহান শিখা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে ছোট বড় ১২ টি ঘর পুড়ে ছাঁই হয়ে যায়।
খবর পেয়ে ফরিদগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট দীর্ঘ চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হলেও ততক্ষণে সব কিছুই পুড়ে ছাঁই হয়ে যায়। বৈদ্যুতিক সর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা না গেলেও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন গুপ্টি পশ্চিম ইউনিয়নের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শরীফ গাজী। তিনি ঘরের মালিকদের ঘুড়ে দাঁড়ানোর জন্য সরকারি সহায়তা দাবি করেন।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান বুলবুল আহাম্মেদ জানান, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়েছি এবং ফায়ার সার্ভিস ও এলাকাবাসীকে সাথে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার আগেই ছোট বড় ১২টি ঘর পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে।
ফরিদগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশন লিডার বিল্লাল হোসেন বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে আড়াই ঘন্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছি এবং বৈদ্যুতিক সর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে বলে তিনি জানান।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাসলিমুন নেছার মোবাইল ফোনে একাধিক বার ফোন দিলেও তিনি ফোনটি রিচিব করে নি।