জামালপুর প্রতিনিধিঃ
জামালপুরের ঐতিহ্যবাহী ও অন্যতম বিদ্যাপীঠ জামালপুর জিলা স্কুল। অথচ অপরিচ্ছন্ন শ্রেণিকক্ষ, সুপেয় খাবার পানির সংকট ও বাথরুমের অবস্থা বেহাল। আঙ্গিনা ও শ্রেণিকক্ষ অপরিষ্কার, অস্বাস্থ্যকর ওয়াশরুম, টেপ কলে নেই পানি। একটিতে পানি আসলেও অপরিষ্কার থাকে সব সময়। শহরের সবচেয়ে ভালো বিদ্যালয়ের এমন পরিবেশে ক্ষুব্ধ অভিভাবক,বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা।
প্রাক্তন শিক্ষার্থী এখন জামালপুর পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন ছানু। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বিষয় টি বার বার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। বিষয় টি পৌর মেয়র এর দৃষ্টিতে আসলে আজ দুপুরে স্কুল পরিদর্শন করেন।
জামালপুর জিলা স্কুলেত সঙ্গে আবেগ ও ভালোবাসা জড়িয়ে রয়েছে প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের। প্রাক্তণ শিক্ষার্থীদের অনেকের সন্তান পড়াশুনা করেন এই প্রতিষ্ঠানে। তবে সম্প্রতি স্কুলের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্কুলের প্রতিটি শ্রেণিকক্ষ অপরিষ্কার। অপরিষ্কার মাঠে পরে আছে, চানাচুরের প্যাকেট, কাগজ। মাঠের পাশেই নানা বিরিয়ানীর খালি বক্স,কোক ও পানির বোতল পড়ে আছে।
শ্রেণিকক্ষের একই অবস্থা। প্রতিটি শ্রেণিকক্ষে ধূলাবালিসহ চানাচুর, বিস্কুটের প্যাকেট ও কাগজ পড়ে আছে। শ্রেণিকক্ষের ভেতরে রয়েছে ময়লা ফেলার ঝুড়ি। তবে এসব ঝুড়িতে ময়লা আবর্জনা ভরপুর হয়ে আছে। স্কুলের শিক্ষার্থীদের হাতমুখ ধুয়ার জন্যে রয়েছে পানির টেপ। এরমধ্যে এক জায়গার টেপে পানি আসলেও বেশিরভাগ স্থানেই অকেজো হয়ে গেছে। আর জায়গাটিও অপরিষ্কার। পানি জমে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। বর্তমানে শিক্ষার্থীদের বাসা থেকে নেয়া বোতলের পানি ও বাইরের কেনা পানির উপর ভরসা করতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।
শ্রেণিকক্ষে গিয়ে দেখা যায় দশম শ্রেণীতে উপস্থিত সংখ্যা মাত্র ৫ জন।যেখানে দেখা যায় ২৪৯ জন শিক্ষার্থী রয়েছে এই শ্রেণীতে। প্রত্যেকটি শ্রেণিকক্ষেই উপস্থিতি সংখ্যা খুবই কম।
এদিকে বেহাল অবস্থা বাথরুমের। শিক্ষার্থীদের ব্যবহারের ওয়াশব্লকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। ময়লা জমে মেঝে সেঁতসেঁতে হয়ে আছে। ওয়াশরুমের সবগুলো বেসিন প্রায় অকেজো। পানি আসে না।
অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা বলছেন, নিয়মিত শ্রেণিকক্ষ ও খেলার মাঠ পরিষ্কার করা হয় না। বাথরুমগুলোর বেহাল দশা। জরুরী প্রয়োজনে নাক চেপে ব্যবহার করতে হয়। বিব্রতকর পরিস্থিতির শিকার হতে হয় তাদের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, বাথরুম সব সময় নোংরা হয়ে থাকে। আমরা খুব বেশি দরকার না হলে ব্যবহার করি না।
অভিভাবকরা বলেন,জামালপুরের এই ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেন অপরিচ্ছন্নতায় জরাজীর্ণ। স্কুলটির এমন করুণ দশা সারা জেলায় আর একটিও খুঁজলেও পাওয়া যাবে না। মাসের পর মাস স্কুল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হয় না।আমরা আশা করবো বিদ্যালয় কতৃর্পক্ষ বাথরুম, শ্রেণিকক্ষ নিয়মিত পরিষ্কার রাখবেন।
বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক বললেন, বিদ্যালয়ের ভবনগুলোতে কয়েকটি শ্রেণিকক্ষের মেঝের আস্তর ওঠে গেছে। সিলিং ফ্যানের বাতাসে ধুলো উড়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি হয়।
প্রধান শিক্ষক হালিমা খাতুন বললেন, বিদ্যালয়ের ক্লিনার আমার কথা শুনে না।আমি বার বার বলার পরেও পরিষ্কার করে না। আমি মিটিং এ জেলা প্রশাসক কে বিষয়টি জানাবো।